Blog, Health&Beauty, Lifestyle

ভাতের মাড় থেকে কন্ডিশনার…

চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে কন্ডিশনার। চুল দেখতেও লাগে ঝলমলে। কন্ডিশনারের অভাবে রুক্ষ হয়ে যায় চুল। আঁচড়ানোর সময় ভেঙে যায়। যাঁরা বাজারের কন্ডিশনার ব্যবহারে স্বস্তিবোধ করেন না, চাইলে তাঁরা সহজলভ্য কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানাতে পারেন। নিমপাতা, অ্যালোভেরা, মেথি, রিঠা, ভাতের মাড় ও চায়ের লিকার দিয়ে ঘরেই তৈরি করা যায় এসব কন্ডিশনার। উপায় বাতলে দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

সহজলভ্য এসব প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানাতে পারেন কন্ডিশনার।

অ্যালোভেরা যখন কন্ডিশনার

অ্যালোভেরা থেকে খোসা বাদে ভেতরের অংশটা বের করে নিতে হবে। এবার সেটা ব্লেন্ড করে নিন। সেই জেল গোসলের আধা ঘণ্টা আগে হাত দিয়ে ভালোভাবে লাগাতে হবে চুলে। স্বাভাবিকভাবে এরপর চুল ধুতে হবে।

কন্ডিশনার হিসেবে ভাতের মাড়

ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে চুলে লাগিয়ে রাখবেন। গোসল করে ফেললেই পাবেন ঝলমলে চুল। কেবল ভাতের মাড় নয়, চাল ধোয়ার পানিও চুলের ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।

কন্ডিশনারের পেস্টটি হাত দিয়ে চুলে লাগানো ভালো।

নিমপাতার কন্ডিশনার

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে নামডাক আছে নিমপাতার। একটি পাত্রে ৪ কাপ নিমপাতা নিন। দুই লিটার (আট মগ) পানিতে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। আধা ঘণ্টা পর পানির রং হবে ঘন সবুজ। আর পানির পরিমাণও কমে অর্ধেকে নেমে আসবে। নিমপাতা জ্বাল দেওয়া পানিটি ছেঁকে একটা কাপে নিন। ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু শেষে চুল ধোয়ার সময় শেষবার যে পানিটুকু দিয়ে চুল ধোয়া হয় (ফিনিশিং ওয়াটার), সেইটুকুর পরিবর্তে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর আর পানি দিয়ে চুল ধোয়ার দরকার হবে না। সপ্তাহে এক দিন এভাবে চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই পারেন। চুলে শ্যাম্পু করার পরদিন অথবা শ্যাম্পু করেও চুলে লাগাতে পারেন প্রাকৃতিক কন্ডিশনার।

মেথির কন্ডিশনার

বাজারে মেথি পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। সেই মেথি পাউডার সমপরিমাণ বা তার চেয়ে একটু বেশি পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার ফলে যে পেস্টটি তৈরি হবে, সেটি হাত দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা রাখার পর গোসল করে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.